বিশেষ সংবাদদাতা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ইনানী বনবিভাগের রেস্ট হাউসকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষণ ও গবেষণাগার করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন জালিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৩ আগষ্ট) সকালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রুহুল আমিন চৌধুরী রাসেলের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ারুল নাসের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ১৯৫৮ সালের ১৬ জানুয়ারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আবকাশ যাপনে ইনানী বন ববিভাগের রেস্ট হাউসে একদিন অবস্থান করেছিলেন। বনবিভাগের পরিদর্শন বইয়ে জাতির জনকের স্বাক্ষর তাই প্রমাণ করে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চরিত্রে কোনদিন পালাতক ছিল বলে প্রমাণ নেই। কিন্তু দুঃখজনক যে ইনানীতে তিনি পালিয়ে ছিলেন বলে কিছু লোক বঙ্গবন্ধুর আপোষহীন চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্ঠা করছে। তাই ইনানীতে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি সংরক্ষণ করে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার আহবান জানান স্থানীয়রা।
প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া স্মারকলিপি থেকে আরো জানা যায়, ১৯৫৮ সালে বঙ্গবন্ধু অবকাশ যাপনের জন্য পর্যটন স্পট ইনানী বন বিভাগের রেস্ট হাউসে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পদধূলি পড়া এ স্থান ইতিহাসটি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে রেস্ট হাউসটি সংরক্ষণ করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে রূপ দেয়া জরুরী।
বলা হয়, ইনানী সৈকতের পর্যটকরা পাথুরে সৈকতে নেমে ছবি ধারণ করার পর আর কিছু দেখতে না পেয়ে বিরক্তি নিয়ে ফিরে যায়। রেস্ট হাউসকে স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হলে সৈকত দর্শনে আসা পর্যটকরা বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সান্নিধ্য পাবে। পাশাপাশি বাংলার আবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা সম্পর্কে জানতে পারবে। এতে পর্যটন শিল্প আরো বিকশিত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা জমির আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রবিউল আহসান, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মুজিবুর রহমান, সাবেক ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি জুহুর আলম, বর্তমান সভাপতি মোস্তাক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, যুবলীগ আহবায়ক ফজল কাদের, সদস্য কামাল উদ্দিন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি নুরুল আবছার নান্নু, সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাকো আলম।